রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
শেখ মো. ইব্রাহীম, সরাইল ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শাখাইতি এলাকায় থেকে শুরু হয়েছে ভাঙন। এরমধ্যে নদী পাড়ের ৪/৫টি চাতাল কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। ভাঙন আতঙ্কে তীরবর্তী ৪ গ্রামের বাসিন্ধারা অনেকটা দিশাহারা। নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার শঙ্কায় উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে গেছে একটি মসজিদের। পানিশ্বর শাখাইতিসহ ৪গ্রাম রক্ষায় নদীর তীরে এক কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। দেখা যায়, মেঘনার তীরবর্তী পানিশ্বর, পালপাড়া, শাখাইতি ও দেওবাড়িয়া। মেঘনার নদীর ঢেউ খুবই উত্তাল। ঢেউ আর পানির স্রোতে ভাঙন শুরু হয়েছে। আশপাশের অনেক বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। একাধিক বাসিন্দারা জানায়, বছরের এই সময়টা আসলেই নদী ভাঙন শুরু হয়। রাতে ঘুমোতে পারি না। কারণ কোন সময় নদী গিলে ফেলে ঘর। নদীর ভাঙনের সঙ্গে যুদ্ধ করেই বেঁচে আছি। স্থানীয় ইউপি সদস্য সাদু মিয়া, গ্রামের বাসিন্দা ওসমান চৌধুরী ও ছাদেক মিয়াসহ অনেকেই বলেন, ভাঙনের কারণে এখানকার অন্যতম শিল্প এক ডজনেরও অধিক চাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। এখন নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে শাখাইতি গ্রামের পূর্ব ও পশ্চিম অংশ। গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড বস্তা না ফেললে ঝুঁকি আরও বেড়ে যেতো। পানিশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিস্টার আলী বলেন, দুই গ্রামে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইউএনও মহোদয়কে জানিয়েছি। ভুক্তভোগীদের সহায়তার আবেদন করতে বলেছেন।